হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশায় বাংলাদেশের রান ১৯৬

আগের দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে বড় জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। আজ টসে জিতে অবশ্য বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান ক্যাপ্টেন। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের উদ্বোধনী জুটিতেই ১১০ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানে। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে এখন বোলারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।

ইনিংসের শুরু থেকে পারভেজ হোসেন ইমন চড়াও হন পাকিস্তানের বোলারদের উপর। ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৫৩। ১৮ ইনিংস পর ওপেনিং জুটি থেকে শতরানও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১তম ওভারে গিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় পাকিস্তান। ফাহিম আশরাফের বলে র‍্যাম্প শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারান তানজিদ তামিম। 

তামিম প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। তার বিদায়ে ভাঙে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে নেই পারভেজ ইমনের উইকেটও। শাদাব খানের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা স্লগ করতে চেয়েছিলেন পারভেজ। কিন্তু ব্যাটের কিনারে লেগে ক্যাচ, ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৬ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। 

দারুণ শুরু এনে দিয়ে দুই ওপেনারের বিদায়, তবে রানের চাকায় এরপর গতি কমতে দেননি লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। ১৫ ওভারেই বাংলাদেশের ১৫০। তবে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৮ বলে ২২ রান করে আউট হন লিটন। হাসান আলি বোল্ড করলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনকে। লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে এসেই প্রথম দুই বলে শামীম পাটোয়ারির দুই বাউন্ডারি। 

এক বল পর রিভার্স খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ হন শামীম। অভিজ্ঞ হারিস রউফের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া আব্বাস আফ্রিদি শামীমকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি এক বল পর তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়ের উইকেটও। ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। মেহেদী হাসান মিরাজ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। 

শেষ দিকে জাকের আলি অনিক দলের সংগ্রহ দুইশোর কাছে নিয়ে যান।