সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারল খুলনা, রংপুরের টানা ৭ জয়
-
1
নিউজিল্যান্ডের নাটকীয় জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যালেঞ্জ ব্যর্থ
-
2
মুশফিকের প্রথম টেস্টে সতীর্থ, শততম টেস্টে কোচ আশরাফুল
-
3
অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে ভারত
-
4
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিরছেন ম্যাট হেনরি, টিকনার থাকছেন দলে
-
5
বলবয় থেকে ব্যাটিং কোচ: আশরাফুলের ফিল সিমন্সের সঙ্গে ২৫ বছরের সম্পর্ক
সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারল খুলনা, রংপুরের টানা ৭ জয়
সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারল খুলনা, রংপুরের টানা ৭ জয়
চায়ের শহর সিলেটে শেষ হয়েছে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। শীতের রাতে সবার চোখ আটকে ছিল রংপুর-খুলনা দ্বৈরথে। বিপিএলে শক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা রংপুর রাইডার্সকে হারানোর সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না খুলনা টাইগার্স। সিলেট পর্বের শেষ দিনে টানা ৭ জয় নিশ্চিত করল নুরুল হাসান সোহানের দল। শেষ ওভারে রংপুরের জয়ের নায়ক পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ খুলনা টাইগার্সকে আজ ৮ রানে হারাল আগের ছয় ম্যাচেই জয় পাওয়া দলটি। রংপুর রাইডার্সের ১৮৬ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে থামে খুলনার ইনিংস। রংপুর রাইডার্স পেল স্বস্তির জয়।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের লক্ষ্য ছিল ১৮৭। রান তাড়ায় দারউইশ রাসুলি আউট হন ইনিংসের ৪র্থ ওভারে। ১৫ বলে ১৭ রানে থাকা রাসুলিকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান রংপুরের পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ। এরপর জমে যায় আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ ও তিনে নামা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি।
৩১ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে খুলনার, এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিরাজ-নাইম মিলে গড়েন ৬১ রানের পার্টনারশিপ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ডেলিভারিতেই তুলে নেন মিরাজের উইকেট। ২৪ বলের ইনিংসে মিরাজ রান পেয়েছেন ৩৯। ফিফটি হাঁকানো মোহাম্মদ নাইম শেখ ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ক্যাচ তুলেছেন মেহেদী বলে তার হাতেই।
শেখ মেহেদীর দ্বিতীয় শিকার ১৫ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলা আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলীয় ১৬৫ রানে আফিফ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে মাহিদুল ইসলাম অংকন আর মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটে জয়ের পথে এগোতে থাকে খুলনা টাইগার্স। কিন্তু শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দাপুটে বোলিং করে রংপুরকে এনে দেন ৮ রানের স্বস্তির জয়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা টাইগার্সের স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকায় খুব একটা গতি বাড়েনি রংপুরের। দুই উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে কেবল ৩৯ রান। ৩০ বলে ৩৬ রান করে একাদশ ওভারে আউট হন তৌফিক খান তুষার। তবে চতুর্থ উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন খুশদিল শাহ। নাসুম আহমেদের এক ওভারেই চার ছক্কা মেরে ২৬ রান নেন তিনি।
২২ বলে ফিফটি পূরণ করেন খুশদিল। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে ১১৩ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ইফতিখার ৩৬ বলে করেন ৪৩। খুশদিল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৩৫ বলে তার ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কার মার।
