Image

টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীতে কলম্বোতে ব্যাটে-বলে হতাশার দিন কাটালো বাংলাদেশ

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 10 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীতে কলম্বোতে ব্যাটে-বলে হতাশার দিন কাটালো বাংলাদেশ

টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীতে কলম্বোতে ব্যাটে-বলে হতাশার দিন কাটালো বাংলাদেশ

টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীতে কলম্বোতে ব্যাটে-বলে হতাশার দিন কাটালো বাংলাদেশ

ঢাকায় জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হল টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী। বিসিবির দুর্দান্ত আয়োজনে গল্প-আড্ডায় স্মৃতি চারনে মেতেছিলেন প্রথম টেস্টের দলে থাকা হাবিবুল বাশার ও মোহাম্মদ রফিকরা।

অন্যদিকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে নিজেদের ১৫৪তম ম্যাচে কলম্বোতে ব্যাটে-বলে এক হতাশার দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ২৪৭ রানে।

ব্যাটারদের পর বোলাররাও অতিমাত্রায় হতাশ করেছেন। লঙ্কান উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই হিমশিম খেয়েছেন এবাদত ও নাহিদ রানারা। টাইগারদের এই দুই পেসারের গতি সামলিয়ে লঙ্কান দুই ওপেনার যোগ করেন ৮৮ রান। 

এবাদত-রানারা না পারলেও জুটি ভাঙতে সক্ষম হন তাইজুল ইসলাম। লাহিরু উদারা (৪০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাইজুল ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। 

কিন্তু অন্য ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে থামাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বোলার। কলম্বোর সিংহলী স্পোর্টস ক্লাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন লঙ্কান এই ওপেনার। দিনশেষে তার নামের পাশে ১৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংসই যার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ২৩৮ বলে খেলা ১৪৬ রানের ইনিংসটি নিশাঙ্কা সাজান ১৮টি দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারিতে। 

১৪৬ রানের ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে নিশাঙ্কা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দীনেশ চান্দিমাল সাথে নিয়ে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। যেখানে চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। দিনের শেষ প্রান্তে নাঈম হাসানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে আত্মহুতি দেন চান্দিমাল, সতীর্থ নিশাঙ্কাকে হতাশায় ডুবিয়ে সাজঘরে ফিরেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ সাথে করে।

বাংলাদেশ দেশের দুই পেসার এবাদত ও রানা মিলে মোট ২১ ওভার বোলিং করেও ছিলেন উইকেট শুন্য। অন্যদিকে তাইজুল (৩২), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬), নাঈম (৮) এবং মমিনুল হক (১) মোট ৫৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন কেবল তাইজুল ও নাঈম।

কলম্বোর সিংহলি স্পোর্টস ক্লাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে  বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিয়েছে বিদেশি মাটিতে টেস্টে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। ২৫ বছরেও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ধারাবাহিকতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট।

তবে এই কঠিন সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে এগোলে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে—এই প্রত্যাশাই করতে হয়।

Details Bottom