বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল পাকিস্তান

বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল পাকিস্তান
বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল পাকিস্তান
গত মে-জুনে লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবগুলো ম্যাচই জেতে পাকিস্তান। এবার অবশ্য হোম ভেন্যুতে টাইগারদের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল। সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রথম দুই ম্যাচেই। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আজ শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৭৪ রানে হারলো বাংলাদেশ। দাপুটে জয়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল পাকিস্তান।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান আজ অবশ্য পেয়েছে বড় সংগ্রহ, ৭ উইকেটে তাদের রান ১৭৮। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ দাপট দেখাতে পারলেই হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল টাইগারদের। তবে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা আর সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত রান করতে পারে কেবল ১০৪।
ওপেনার তানজিদ তামিমের ডাক। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ সেট হয়ে গিয়েও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নামা অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকে ৮ বলে আসে ৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ফাহিম আশরাফের শিকার হওয়ার আগে রান করেন কেবল ৯।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে ৫ উইকেট, তাও আবার মাত্র ২৫ রানে। সালমান মির্জা ১ বলের ব্যবধানে বোল্ড করেন জাকের আলি আর শেখ মেহেদীকে। শামীম পাটোয়ারির বিদায়ে আরও বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সালমান আলি আঘার ডেলিভারিতে স্টাম্প হারানোর আগে ৫ রান আসে শামীমের ব্যাট থেকে।
নাসুম আহমেদ ১৩ বল খেলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তাসকিন আহমেদ ফেরেন ৬ বলে ৭ রান করে। শেষ উইকেট জুটিতে শরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৩৪ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৪ রানে।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান আজ অবশ্য পেয়েছিল বড় সংগ্রহ, ৭ উইকেটে তাদের রান ১৭৮।
অষ্টম ওভারে গিয়ে অবশেষে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন একাদশে ফেরা নাসুম আহমেদ। আর তাতে ভাঙল ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৫ বলে ২১ রান করা সাইম ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শামীম পাটোয়ারির হাতে।
সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি নাসুম আহমেদ। ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই তুলে নেন পাকিস্তানের আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উইকেট। ২৯ বলে ফিফটি হাঁকানো ফারহান আউট হন নামের পাশে ৬৩ রান রেখে। তিনে নামা পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস আজও ব্যর্থ হয়েছেন চরমভাবে। আগের দুই ম্যাচে ৪ ও ০ করা হারিসের ব্যাট থেকে শেষ ম্যাচে আসে ৫ রান। দলের বাকিদের তান্ডব চালানোর দিনে হারিস ১৪ বল খেলেও কোনো বাউন্ডারি পাননি।
৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৭ বলে ৩৩ রান করে ফেলা হাসান নওয়াজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে বল হাতে অ্যাকশনে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন হোসাইন তালাতকে। ৪ বল খেলা তালাত ১ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলা মোহাম্মদ নওয়াজ ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই তাসকিনের শিকার।
ফাহিম আশরাফের ইনিংসের শুরু বাউন্ডারি দিয়ে। পরের বলেও লফটেড খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ হন। ৩ বলের মধ্যে তাসকিনের শিকার ২ উইকেট।