বাংলাদেশের পর আমি শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে বেশি পছন্দ করি: মুশফিক

বাংলাদেশের পর আমি শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে বেশি পছন্দ করি: মুশফিক
বাংলাদেশের পর আমি শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে বেশি পছন্দ করি: মুশফিক
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। শান্ত তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, মুশফিক ও শতক তুলে ফিরেছেন পুরোনো ছন্দে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুশফিক। তুলে ধরেন উইকেটের চরিত্র, নিজের ইনিংস এবং দলীয় পরিকল্পনা।
প্রথম দিনের খেলায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল কিছুটা ধীরগতির। ওপেনারদের দ্রুত বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে মিডল অর্ডারে শান্তর ধীরস্থির ব্যাটিং এবং মুশফিকের অভিজ্ঞতায় গড়ে ওঠে বড় জুটি। শান্তর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে মুশফিক বলেন, "শান্ত মাশাল্লাহ অনেক দিন ধরে ভালো খেলছে। টেস্টে অধিনায়ক বা ব্যাটার হিসেবেও ওর রেকর্ড ভালো। দারুণ কন্ট্রোলড ইনিংস।"
নিজের, শতক নিয়ে কিছুটা স্বস্তির কথাও জানান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দীর্ঘদিন পর শতক পাওয়াকে স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে বলেন, "কেউই চায় না কম রান করতে। প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে রান আসবেই। আমি সেটাই ধরে রেখেছি।"
গলের উইকেট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুশফিক বলেন, "গলের রেকর্ড ঘাটলে দেখবেন, যত সময় গড়ায় উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রথম ইনিংসে বড় রান তোলা জরুরি।"
শ্রীলঙ্কায় নিজের ব্যাটিং রেকর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের পর আমি শ্রীলঙ্কাতেই খেলতে বেশি পছন্দ করি। এখানকার কন্ডিশন স্পোর্টিং। যারা নিজের শক্তি কাজে লাগাতে পারে, তারা এখানে ধারাবাহিক হতে পারে।"
ব্যাটারদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রস্তুতির প্রসঙ্গ টেনে মুশফিক জানান, গলে ব্যাটিং করলে ধৈর্য ধরাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তরুণদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, "বল টার্ন হলে, পুরোনো হলে কিভাবে অ্যাডজাস্ট করতে হয়, সেটা শিখতে হবে। নিজের শক্তি কাজে লাগাতে পারলেই এখানে সফল হওয়া যায়।"
টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে প্রতিটি ইনিংসকে ‘স্পেশাল’ মনে করেন মুশফিক। বলেন, "ভালো কিছুর কোনো শেষ নেই। ২০০, ২৫০ করেও নট আউট থাকা যায়। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, সুযোগ পেলে দুই হাতে লুফে নিতে হবে।"
দিন শেষে মুশফিকের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাস, অভিজ্ঞতা এবং দলীয় পরিকল্পনার স্বচ্ছতা। আগামী দিনে যদি শান্ত তার ইনিংস বড় করতে পারেন এবং অন্য ব্যাটাররাও ধৈর্য ধরে খেলে যান, তবে গলে বাংলাদেশ পেতে পারে বড় লিড এবং কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।