আবারও বিপিএল চ্যাম্পিয়ন তামিমের ফরচুন বরিশাল
- 1
ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেবের পাশে মেহেদী হাসান মিরাজ
- 2
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড
- 3
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ, ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
- 4
তাইজুলও বললেন তিনি ‘আন্ডাররেটেড’
- 5
উইকেটশূন্য সেশন বাংলাদেশের, চট্টগ্রামেও জিম্বাবুয়ের একক আধিপত্য

আবারও বিপিএল চ্যাম্পিয়ন তামিমের ফরচুন বরিশাল
আবারও বিপিএল চ্যাম্পিয়ন তামিমের ফরচুন বরিশাল
৪ বলে দরকার কেবল ১ রানের, হোসাইন তালাত দিলেন ওয়াইড। আর তাতেই ডাগআউট থেকে দৌঁড়ে ছুটে এলেন ফরচুন বরিশালের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে চলল উৎসব। সব আলো নিভে গিয়ে লেজার শোতে ভরে গেল শের-ই-বাংলার মাঠ। টানা দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাজিমাত করল বরিশাল। তামিমের নেতৃত্বে আরও একবার শিরোপা ঘরে তুলল তারা। চিটাগং কিংসের ১৯৪ রান বরিশাল টপকায় ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে।
টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করে চিটাগং কিংসকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাত্তা না দিয়ে ফাইনালেও উঠে যায় হেসেখেলে। ফাইনালে বরিশাল বড় লক্ষ্য পেলেও দর্শকদের হতাশ করেনি। বিপিএলের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল। কাইল মায়ের্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ নবীকে দ্রুত হারিয়ে ফেললেও শেষদিকে ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও খেলে রিশাদ হোসেন দলকে ফাইনাল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে চিটাগং কিংস। অর্থাৎ ফরচুন বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দলটি। হার-না-মানা ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এর আগে খাজা নাফেকে নিয়ে ওপেনিংয়ে গড়েন ১২১ রানের রেকর্ড জুটি। তবে দারুণ শুরু পাওয়া চিটাগংয়ের শেষটা হয়নি ভালো। ইনিংসের শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কেবল ৫৩ রান করতে পারে।
রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পেয়ে ম্যাচ প্রথমেই সহজ করে ফেলেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। একপ্রান্তে তামিম শো চলতেই থাকে। একের পর এক চার-ছক্কায় কিংস বোলারদের চোখের পানি, নাকের জল এক করে ছাড়েন তিনি। মাত্র ২৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যাশিং ওপেনার।
ইনিংসের ৯ম ওভারে গিয়ে তামিমকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে পারেন শরিফুল ইসলাম। তামিমকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি শরিফুল। দুই বল পর লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন ডেভিড মালানকেও। ২ বল খেলা মালান ১ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর অবশ্য তাওহীদ হৃদয় রূদ্রমূর্তি ধারণ করেন। হয়ে ওঠেন আরো বিধ্বংসী।
তবে নাইম ইসলাম অ্যাকশনে আসতেই বাজে শটে ক্যাচ দেন ৩২ রানে থাকা হৃদয়। দলীয় ৯৬ রানে ৩য় উইকেট হারানো বরিশালকে এরপর পথ দেখান মুশফিকুর রহিম আর কাইল মায়ের্স। নাইম ইসলাম নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেও উইকেট শিকার করতে ভুল করেননি। ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলা মুশফিককে ক্যাচ বানিয়ে পথ দেখান সাজঘরের।
কাইল মায়ের্স অবশ্য একাই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চিটাগং কিংসের হাত থেকে। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বরিশালকে রাখেন জয়ের পথে। তাকে সঙ্গ দিতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলতে থাকেন বেশ দেখে-শুনে।