বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি

বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে বল স্পর্শ করে ক্যাচ ধরার চিত্র আর দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমসিসি ক্রিকেটের আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। যেটি ২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে আইসিসির খেলার শর্তাবলিতে কার্যকর হবে অথ্যাৎ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট ম্যাচ থেকেই এটি কার্যকর হবে। নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বহুদিন ধরে চলে আসা বিতর্কিত ‘এয়ারবর্ন ক্যাচ’য়ের অধ্যায়।
এমসিসির পাঠানো এক স্মারকে জানানো হয়েছে, ফিল্ডার যদি বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে বল ছোঁন, তবে তিনি কেবল একবারই তা করতে পারবেন। দ্বিতীয়বার স্পর্শ করতে হলে তাকে মাঠে সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায়, বলটিকে বাউন্ডারি হিসেবে গণ্য করা হবে। এই নিয়ম রিলে ক্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এমসিসির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, "বাউন্ডারির বাইরে থেকে একাধিক স্পর্শের সুযোগ নিয়মের মধ্যে থাকলেও তা অনেক সময় খেলাটির ন্যায্যতা ও আত্মার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছিল। এই নিয়ম সংশোধনের মাধ্যমে আমরা ফিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য ও খেলার ন্যায্যতা দুই-ই রক্ষা করতে চাচ্ছি।"
নতুন নিয়মে যেসব ক্যাচ ভবিষ্যতে অবৈধ বলে গণ্য হবে, তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে ২০২৩ সালের বিগ ব্যাশ লিগে মাইকেল নেসারের ক্যাচে জর্ডান সিল্কের আউট হওয়া এবং ২০২০ সালে টম ব্যানটন ও ম্যাট রেনশর যুগল ক্যাচ।যা আইনের মধ্যে থাকলেও ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।
নতুন আইন অনুযায়ী বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে বল ছুঁয়ে ফিল্ডার যদি পরবর্তী কোনো ধাপে আবার বল স্পর্শ করতে চান, তাহলে তাঁকে মাঠে সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করে, মাটিতে পা রেখে, বল স্পর্শ করতে হবে। অন্যথায়, বলটি চার বা ছয় বলে গণ্য হবে।
রিলে ক্যাচের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম, অর্থাৎ প্রথম ফিল্ডার যদি মাঠে ফেরার আগেই বল ছুঁড়ে দেন, তাহলে সেটি বৈধ ধরা হবে না।আইনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরুর দিন থেকে কার্যকর হবে। তবে এমসিসির অফিশিয়াল ‘লজ অব ক্রিকেট’-এ এটি যুক্ত হবে ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে।
খেলোয়াড়দের অভিনবতা ও দর্শকদের চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে বাধা নয় বরং ফেয়ার প্লের মানদণ্ড বজায় রাখাই এ নিয়ম সংশোধনের মূল লক্ষ্য বলে মনে করছে এমসিসি।