শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৫০ রান, ভারতের চাই ১০ উইকেট

শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৫০ রান, ভারতের চাই ১০ উইকেট
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৫০ রান, ভারতের চাই ১০ উইকেট
হেডিংলিতে চলছে উত্তেজনার চূড়ান্ত মঞ্চায়ন। পঞ্চম দিন মাঠে নামার আগে প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৩৫০ রান। টেস্টের চতুর্থ দিন ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৩৬৪ রানে গুটিয়ে গেলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭১ রান। দিন শেষে বিনা উইকেটে ২১ রান তুলে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা।
টেস্ট ইতিহাসে ৩৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারত মাত্র একবার হেরেছে সেটিও ইংল্যান্ডের মাটিতে। তিন বছর আগে এজবাস্টনে। সেই ম্যাচেই ‘বাজবল’ যুগের শুরুতে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা। হেডিংলিতে তারা চাইবে সেই ইতিহাসকেই পুনরাবৃত্তি করতে।
তবে ভারতের ব্যাটিং ভরসা ছিলেন কেএল রাহুল ও রিশাব প্যান্ট। দ্বিতীয় ইনিংসে এই দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চাপেই ছিল ইংল্যান্ড। রাহুল ১৩৭ এবং প্যান্টের ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। প্যান্টের এটি ইংল্যান্ডে চতুর্থ শতক, যা কোনো বিদেশি উইকেটকিপারের জন্য যৌথ সর্বোচ্চ।
কিন্তু রাহুল-প্যান্ট ফিরে যাওয়ার পরপরই এক চেনা দৃশ্য। ধসে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ছয় ব্যাটার মিলে যোগ করেন মাত্র ৩১ রান। ইনিংসের শেষ ৭১ বলেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। চতুর্থ দিনে জশ টাং ৭২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কার্যত গুঁড়িয়ে দেন ভারতের টেলএন্ড।
দিনের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীরগতির। সকালের সেশনে ভারত তুলেছিল মাত্র ৬৩ রান। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন রাহুল, অন্যপ্রান্তে প্যান্ট খেলেছেন স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ইনিংস। যদিও শুরুটা ছিল প্যান্টের জন্য বিপজ্জনক। দ্বিতীয় বলেই চার মারতে গিয়ে বিভ্রান্তি, এরপর আরও কিছু সুযোগ-সন্ধানী শট।
তবে রাহুলের সহচর্যে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হন তিনি। শতক পূর্ণের পর আবার আগ্রাসী রূপে ফিরে আসেন। জো রুটকে এক ওভারে মারেন চার-ছয়-চার। তবে শোয়েব বশিরের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। এরপর ক্রমেই মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতীয় ইনিংস।
শেষদিকে জাদেজা চেষ্টা করলেও প্রাসিদ কৃষ্ণকে রক্ষা করতে পারেননি। বশিরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে ভারতের লিড গিয়ে ঠেকে ৩৭০ রানে।
দিনের শেষভাগে ২১ রান তুলতে কোনো ঝুঁকি নেননি ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। তবে পঞ্চম দিনের সকালে ইংল্যান্ড কতটা আক্রমণাত্মক হবে, তার অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটবিশ্ব।
ভারতের সামনে আছে কেবল আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ। আর ইংল্যান্ড? তাদের বিশ্বাস, এই রান তারা তুলতেই পারে। আর সেটাই হলে হেডিংলি টেস্ট হয়ে উঠবে ‘বাজবল’ যুগের আরেকটি স্মরণীয় অধ্যায়।