৫ বছরের জন্য বিপিএল দল, আসতে পারে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিও

৫ বছরের জন্য বিপিএল দল, আসতে পারে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিও
৫ বছরের জন্য বিপিএল দল, আসতে পারে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিও
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বিতর্ক আর সমালোচনা নতুন কিছু নয়। টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মাঠে এর কদর ঠিকই রয়েছে, সেটিই যেন আবারও প্রমাণ হলো বিসিবির সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে।
বিপিএল নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন শুনে বিস্মিত বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "সবার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে, বিপিএল অনেক জনপ্রিয়!"
দীর্ঘ বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান জানালেন, টুর্নামেন্টে এবার থাকছে বড় পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে পরিচালিত হবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর।
ইফতেখার বলেন, "বিপিএলের টাইমফ্রেম ঠিক করা হয়েছে, ডিসেম্বর-জানুয়ারি। বিপিএল নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল গত আসরে, এর আগের আসরেও। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্যান্য দেশে যেমন প্রখ্যাত স্পোর্টস এজেন্সিকে দায়িত্ব দেয়, আইপিএল বলেন বা পিএসএল বলেন, তারাই কাজটা করে। এবার বিপিএলও আমরা এমন এজেন্সিকে দিয়ে করাব,"
টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানাতেও থাকছে বড় রদবদল। তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছরের চক্রে দেওয়া হবে মালিকানা, যেখানে থাকবে রাজস্ব ভাগাভাগির (রেভিনিউ শেয়ারিং) নতুন মডেল।
ইফতেখার আরও বলেন, "বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক মডেল তৈরি করা হবে। আগের মতো থাকবে না। রেভিনিউ শেয়ারিং বা সব কিছু স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মডেল তৈরি করা হবে।"
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেও নেওয়া হচ্ছে নজরকাড়া উদ্যোগ। বিপিএল আয়োজনে থাকছে বোর্ডের বাইরের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ।
"বিপিএল নিয়ে সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্ত, আগে কখনও হয়নি। বিপিএল নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য (বোর্ডের) বাইরের লোককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমরা যেন একদম ক্লিন ইমেজ নিয়ে শেষ করতে পারি, স্বচ্ছতা যেন থাকে। তাই বিপিএল কমিটিতে নানা ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাইরের লোকও নেওয়া হবে," বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকায় সময়সূচি নির্ধারণে ছিল বাড়তি সতর্কতা। তবে সব দিক বিবেচনায় ডিসেম্বর-জানুয়ারিকেই বেছে নিয়েছে বোর্ড। সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেতও মিলেছে বলে আশ্বস্ত করেন ইফতেখার।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এই প্রথমবারের মতো বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিপিএলের দরজা।
তিনি আরো বলেন, "(বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি) সবার জন্য উন্মুক্ত। ক্রাইটেরিয়া আমরা ঠিক করে নিই, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে এবং যারা (এজেন্সি) এসব আগে সফলভাবে করেছে, তাদের পরামর্শ সহকারে একটা ক্রাইটেরিয়া ঠিক করা হবে। তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। ওই ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলে, আমাদের সরকারের নীতিমালা সব কিছু ঠিক থাকলে তারা (বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি) দল নিতে পারবে,"
নতুন পরিকল্পনায় বিপিএল ঘিরে জেগেছে নতুন আশাবাদ। এখন দেখার পালা, এসব ঘোষণাকে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারে বিসিবি।