৬৪ রান করতেই শেষ ৮ উইকেট নেই বাংলাদেশের

লাহোর কালান্দার্স পারলেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ২০১ রান করে স্বাগতিকরা। আর তাতেই লাহোরে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০'তে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। লিটন দাস তার সামর্থ্য প্রমাণ করলেও ফিফটি মিসের আক্ষেপে পুড়েন। বাংলাদেশ দল গুঁড়িয়ে যাওয়ার আগে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি। মাত্র ৩০ রান দিয়ে হাসান আলি শিকার করলেন ৫ উইকেট। 

আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবল বাংলাদেশ দল। লাহোরের ব্যাটিং প্যারাডাইজে পাক বোলারদের একে একে সব উইকেট উপহার দিয়ে ম্যাচ হারলো ৩৭ রানে। বাংলাদেশ ১০০ থেকে ১৬৪ রান করতে গিয়ে হারায় শেষ ৮ উইকেট। 

পিএসএল ফাইনালে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের সমান ২০১ রান করেছিল। এই রান ১ রান বাকি থাকতে টপকে যায় লাহোর কালান্দার্স। বাংলাদেশকেও জয় পেতে হলে ব্যাটিং করতে হত কালান্দার্সের মতোই। পাকিস্তানের ২০১ রান লাহোরের মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ। ১৮ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। ২২ বলে ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংষ খেলেন হাসান নওয়াজ।

২০২ রানের বড় লক্ষ‍্য পেয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারেই হারায় পারভেজ ইমনের উইকেট। হাসান আলি ইমনের পর শিকার করেন তানজিদ তামিমের উইকেট। ইমন ৪ রানের বেশি করতে না পারলেও তানজিদ তামিম ইনিংস টেনে নিয়ে যান দারুণ সব স্ট্রোক্সে। 

পাওয়ারপ্লে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ, ৬ ওভারে ৪৫/২। শাদাব খানকে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের একশ রান পূরণ করে পরের বলেই আউট লিটন। খুব কাছে থেকেও ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি। এ নিয়ে ১০ ইনিংসে তার ব্যাটে ফিফটির দেখা মেলেনি। ২ উইকেটে ১০০ রান পাওয়া বাংলাদেশ পরের ৮ রান করতেই হারিয়ে বসে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারির উইকেট।