তামিম বিহীন চট্টগ্রামকে হারিয়ে ঢাকা মেট্রোর টানা ৭ জয়

তামিম বিহীন চট্টগ্রামকে হারিয়ে ঢাকা মেট্রোর টানা ৭ জয়
তামিম বিহীন চট্টগ্রামকে হারিয়ে ঢাকা মেট্রোর টানা ৭ জয়
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে উড়ছে ঢাকা মেট্রো। টানা ৭ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল। আজ সকালের ম্যাচে তামিম ইকবাল বিহীন চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ১৭ রানে জিতল নাইম শেখের মেট্রো। ৫৬ রানের ইনিংস খেলা শামসুর রহমান শুভ পেলেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।
সিলেটের আউটার গ্রাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মেট্রো। তবে টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে মেট্রোর কেবল হতাশা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাইম হাসানের ডেলিভারিতে উইকেট হারান ৬ বলে ১৩ রান করা ইমরানউজ্জামান। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা মেট্রো।
শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনে নামা আনিসুল ইসলাম (০)। অধিনায়ক নাইম শেখের ইনিংস থামে ২২ রানে। এরপর অবশ্য ঢাকা মেট্রোর রানের চাকায় গতি বাড়ে শামসুর রহমান শুভ আর মারশাল আইয়ুবের ৯৬ রানের জুটিতে। দু'জনেই পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। ব্যক্তিগত ৫১ রানে মারশাল আইয়ুবের বিদায়ে ভাঙে জুটি। এরপর শামসুর রহমান শুভও (৫৬) নিয়েছেন বিদায়। এরপর অবশ্য ঢাকা মেট্রোর ইনিংস যায়নি বেশিদূর। ৮ উইকেট হারিয়ে রান করতে পারে ১৫৮।
টার্গেট টপকাতে নেমে মুমিনুল হকের গোল্ডেন ডাক। মেট্রোর স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে মুমিনুল যান প্যাভিলিয়নে। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। দ্রুত উইকেট হারান শাহাদাত হোসেন দিপু। আরাফাত সানির ডেলিভারিতে লেগ বিফোর হওয়ার আগে ৯ বলে করেন পাঁচ রান।
এরমাঝেই ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনে নামা সাদিকুর রহমান। ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। অধিনায়ক ইয়াসির আলি চৌধুরী দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন ব্যক্তিগত ৪৬ রানের। সাদিকুরের মতো ইয়াসিরও ফিফটি মিসের আক্ষেপে পুড়েন।
এরপর আর কেউ দুই অংকের রানে পৌঁছাতে পারেননি। শেষ অবদি ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থামে চট্টগ্রাম বিভাগের ইনিংস। ১৭ রানে জিতল ঢাকা মেট্রো, টুর্নামেন্টে টানা ৭ জয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে নাইম শেখের এই দলটি।