পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে আবাহনী জিতল ১৬২ রানে
- 1
ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেবের পাশে মেহেদী হাসান মিরাজ
- 2
শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল জুনিয়র টাইগাররা
- 3
শ্রীলঙ্কাকে ২৮ ওভারে ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
- 4
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড
- 5
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ, ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে আবাহনী জিতল ১৬২ রানে
পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে আবাহনী জিতল ১৬২ রানে
পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরির পর রাকিবুল হাসানের ফোর-ফারে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ১৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও পরের ম্যাচে তুলে নিল দাপুটে জয়। ১২৬ রান করা ওপেনার পারভেজ ইমন পেলেন ম্যাচসেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী নতুন মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬ উইকেটের হার দেখে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে। কিন্তু পরের ম্যাচেই জয়ে ফিরল নাজমুল হোসেন শান্তর আবাহনী লিমিটেড। তাও আবার ১৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ৩২৩ রান করে আবাহনী। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে খেলেন ১২৬ রানের ইনিংস। আরেক ওপেনার জিশান আলম অবশ্য উইকেট হারান ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার হয়েছেন ব্যর্থ। আজিজুল হাকিম তামিমের ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে শান্ত ২১ বলে করেন কেবল ৯।
এদিন পারভেজ ইমনকে সঙ্গ দিয়ে ফিফটি পেয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। এই দুইয়ের জুটি থেকে আসে ১৭১ রান। ৬৫ বলে ৭২ করে মিঠুন আউট হলে ভাঙে পার্টনারশিপ। এরপর মাহফুজুর রহমান রাব্বি এসে ১৪ বলে খেলেন ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অবশ্য অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
সেঞ্চুরি হাঁকানো পারভেজ ইমন ইনিংসের ৪৫তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে উইকেট হারান। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২৬ রানের ইনিংস সাজান ৯ চার ও ৮ ছক্কায়। শেষদিকে মোসাদ্দেক-রাব্বির ব্যাট চড়ে তিনশ পেরিয়ে ৩২৩ রানে গিয়ে থামে আবাহনীর ইনিংস।
এরপর বল হাতে রাকিবুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী চরম বিপাকে ফেলে দেন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। ২৯.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন তিনে নামা খালিদ হাসান। ওপেনিংয়ে নেমে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন দাস। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার আউট হন ১৮ বলে ৩৬ করে।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জেতানো ইফতেখার হোসেন ইফতি এদিন ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও ফিরে গেছেন দ্রুত, ৮ বলের ইনিংসে রান পান কেবল ২। শেষদিকে নিহাদউজ্জামান ৩৫ রান করে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।