Image

'পেট চালানো জরুরি', আন্দ্রে রাসেলের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়, তবে বাস্তবতা তো এটাই!

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
'পেট চালানো জরুরি', আন্দ্রে রাসেলের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়, তবে বাস্তবতা তো এটাই!

'পেট চালানো জরুরি', আন্দ্রে রাসেলের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়, তবে বাস্তবতা তো এটাই!

'পেট চালানো জরুরি', আন্দ্রে রাসেলের মন্তব্যে আলোচনার ঝড়, তবে বাস্তবতা তো এটাই!

আন্দ্রে রাসেলের ক্যারিয়ার এক গ্লোবাল যাত্রার নাম, যেখানে রয়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা এবং একটি আইপিএল শিরোপা। ইতিহাসে মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় আছেন যারা ১০টির বেশি বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট (কমপক্ষে পাঁচ দলের অংশগ্রহণ থাকা) জিতেছেন—রাসেল তাদের একজন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অভিজাত তালিকার আরও তিনজনই ক্যারিবীয়: ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড এবং সুনীল নারাইন। এই প্রেক্ষাপটেই রাসেল প্রতিক্রিয়া জানান ভিরাট কোহলির সাম্প্রতিক মন্তব্যের, যেখানে কোহলি বলেছিলেন আইপিএল টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে “পাঁচ ধাপ নিচে।”

রাসেল বলেন, “আমি মনে করি, আপনি যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড থেকে আসেন, যেখানে টেস্ট খেলোয়াড়দের ভালোভাবে দেখাশোনা করা হয়, তাহলে ব্যাপারটা একদম আলাদা। তারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বড় অঙ্কের অর্থ পায়, বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পায়, স্বাভাবিকভাবেই তারা টেস্ট খেলতে চায়। কিন্তু ক্যারিবীয়রা? আপনি হয়তো ৫০ বা ১০০ টেস্ট খেলবেন, তারপর অবসর নিলে দেখার মতো খুব বেশি কিছু থাকে না।”

রাসেলের গল্পটি বৃহত্তর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংকটের প্রতিচ্ছবি—যেখানে সেরা প্রতিভারা লাল বলের ক্রিকেট ছেড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিরাপত্তা ও সম্ভাবনার খোঁজে পা বাড়ায়। যদিও পুরোপুরি অর্থের বিষয় নয়, তবুও আর্থিক বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়ারও নয়।

তিনি আরও যোগ করেন, “অবশ্যই আপনি চান একটি স্বচ্ছন্দ জীবন ও পরিবারকে দেখাশোনা করার সুযোগ।”

তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অস্থির দল নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে অনেক খেলোয়াড়ই ভিন্ন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। রাসেল এখন পর্যন্ত মাত্র একটি টেস্ট খেলেছেন—২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে তার দাবি, তিনি নিজের ইচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে টেস্ট থেকে সরে এসেছেন।

তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি কখনো টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেইনি। আমাকে মূলত টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তারা আমাকে সাদা বলের খেলোয়াড় হিসেবে দেখে এবং বিষয়টা সেখানেই শেষ।”

তবে কি রাসেল তার টি-টোয়েন্টির গৌরব ও ছক্কার ইনিংসগুলো ছেড়ে দিয়ে টেস্টে দীর্ঘ ক্যারিয়ার চাইতেন?

“সত্যি বলতে? না। আমি টেস্ট ক্রিকেটকে সম্মান করি, কিন্তু আমি একজন পেশাদার। এটা আমার যাত্রার অংশ ছিল না। আমার কোনো আফসোস নেই, কারণ আমি নিজে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেইনি।”

সাদা বলের আইকন হলেও রাসেল এখনও লাল বলের সূক্ষ্মতা বোঝেন। তিনি ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসকে শ্রদ্ধা করেন এবং বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া জ্যাকব বেতেলকে ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে দেখেন, যাকে তিনি বলেন “চোখে আরামদায়ক”। কোলকাতায় ২০১৯ সালে তার কোচ ছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম—রাসেল তাকে স্মরণ করেন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়।

“সে আপনাকে নিজের মতো খেলতে দেয়, বিশ্বাস করে আর স্বাধীনতা দেয়। আমার মতে, একজন কোচের সবচেয়ে বড় গুণ এটাই।”

অবসর প্রসঙ্গে রাসেল বলেন, “আমি কমপক্ষে আরও তিন বছর খেলার কথা ভাবছি। বয়স শুধু একটা সংখ্যা।”

এখনও বিধ্বংসী ফিনিশার ও দর্শক মাতানো তারকা, রাসেলের মাথায় একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য—ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি সাদা বলের শতক, যা এখনো অর্জিত হয়নি, যদিও তিনি ১৪০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন।

“আমি পরিসংখ্যান নিয়ে মাথা ঘামাই না… কিন্তু এটা পেলে কেকের উপর চেরি হয়ে যাবে।”

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three