এক ম্যাচ বাকি রেখেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

এক ম্যাচ বাকি রেখেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
এক ম্যাচ বাকি রেখেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজে টিকে থাকার জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবারও সেই পুরানো ব্যাটিং ব্যর্থতা। ৪৪/০ থেকে ৭৭/৭–এর দলে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত থামলো ১৪৪ রানে। শেষদিকে একা হাতে ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে তানজিম হাসান সাকিব কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পারেন। মিডল অর্ডারের চরম ব্যর্থতার দিনে ৩০ বলে ক্যারিয়ারের ফিফটি ছুঁয়েছেন সাকিব। ৫৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তান সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো। ৯ নম্বরে নেমে ১ চার ও ৫ ছক্কায় তানজিম হাসান সাকিবের ৩১ বলে ৫০ রান।
প্রথম ২ ওভারে ৩২ রান, পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৪। বিনা উইকেটে ৪৪ রানে থাকা বাংলাদেশ ৫৬ পর্যন্ত যেতে যেতে হারায় ৫ উইকেট। এর একে একে বাকি উইকেটগুলোও পাকিস্তানকে উপহার দিয়ে বাংলাদেশ গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১৪৪ রানে। আরব আমিরাতের পর এবার পাকিস্তান কাছেও সিরিজ হারলো লিটন দাসের দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তান পায় আগের ম্যাচের মতোই ২০১ রানের বড় সংগ্রহ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু পেয়েও মুহূর্তেই পরাজয়ের পথে ছুটে যায় বাংলাদেশ।
তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা সালমান আলি আগাকে খরচ করান মোট ১৭ রান। পরের ওভারে এসে হাসান আলি দেন ১৫ রান। তামিম ঝড়ে ২ ওভারেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৩২ রান। দলীয় ৪৪ রানে পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ে ভাঙে জুটি। পরের ওভারে নেই দারুণ খেলতে থাকা তানজিদ তামিমও।
ঝড়ো শুরু করে আরও একবার মাঝপথে থেমে গেলেন তামিম। ফাহিম আশরাফের বলে শর্ট লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে মাত্র ১৯ বল খেলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। পাওয়ার প্লের শেষ বলে লিটন দাসও আউট। হাসান আলির স্লোয়ারে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ বলে ৬ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ইনিংসের ৭ম ওভারে বল হাতে অ্যাকশনে এসেই আবরার আহমেদের জোড়া শিকার। সুইপ খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে তাওহীদ হৃদয়, ৫ বলে করেন ৫ রান। এরপর জাকের আলি অনিকের গোল্ডেন ডাক। স্টাম্পে থাকা বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ জাকের। আগের ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা জাকের আজ গুরুত্বপূর্ণ দিনে হয়েছেন পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। ৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৬০।
আগের ম্যাচে ৪ রান পাওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারি আজও অবশ্য করেছেন ৭ রান। আরব আমিরাত সিরিজ থেকেই এক অংকের রানে ঘুরপাক খাচ্ছেন শামীম। রিশাদের অবস্থাও শামীমের মতোই, উইকেটে আসলেন আর বিদায় নিলেন। বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন দলের বিপদ। আসা–যাওয়ার মিছিলে যুক্ত হয়ে রিশাদ যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের অবস্থা তখন ৭৭/৭।
৯ নম্বরে নেমে ১ চার ও ৫ ছক্কায় তানজিম হাসান সাকিবের ৩১ বলে ৫০ রান। বাংলাদেশকে ৫৭ রানে উড়িয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টির একাদশে জায়গা পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ থাকেন উইকেটশূন্য, রিশাদ হোসেন ১ উইকেট নিতে গিয়ে রান দিয়েছেন ৫০। পায়ে চোট পাওয়ায় মাত্র ৩ বলে করতেই মাঠ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব শিকার করেন ২টি করে উইকেট।