সাকিবের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বিসিবি, তার সাথে ঠিকভাবে যোগাযোগই করেনি
- 1
ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেবের পাশে মেহেদী হাসান মিরাজ
- 2
শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল জুনিয়র টাইগাররা
- 3
শ্রীলঙ্কাকে ২৮ ওভারে ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
- 4
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড
- 5
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ, ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সাকিবের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বিসিবি, তার সাথে ঠিকভাবে যোগাযোগই করেনি
সাকিবের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বিসিবি, তার সাথে ঠিকভাবে যোগাযোগই করেনি
বিশ্ব ক্রিকেটে সাকিবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকার নাম। ২০০৬ সালে অভিষেকের পর প্রায় সব আসরেই তিনি ছিলেন দলের সেরা। সাকিবকে ছাড়া এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসর খেলে এসেছে বাংলাদেশ। বিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সাকিবকে উপেক্ষা করেছে। সম্প্রতি সাকিব বোর্ডের দিকে আঙুল তুললেন; বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবের সাথে ভালোভাবে যোগযোগই করেনি। বিসিবির অবহেলার কারণে সাকিব বাধ্য হয়ে কাউন্টি দলের হেড কোচের কাছে যান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে কোনো ইতিবাচক খবর পায়নি বিসিবি। বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় তাকে কেবল ব্যাটার হিসেবে নিতে চাননি বলে জানান নির্বাচকরা। যদিও অ্যাকশন ইস্যুর আগে রাজনৈতিক কারণেই খেলার বাইরে ছিটকে যান সাকিব। দেশে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন, আসতে পারেননি সরকারের সায় না থাকায়।
২০২৩ বিশ্বকাপে ম্যাথুজের টাইমড আউটের এই ম্যাচের পর আর ওয়ানডে খেলেননি সাকিব। বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার পর সাকিব আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে কাজ করার সুযোগ পেলে তিনি এই পরীক্ষায় দ্রুত উত্তীর্ণ হতে পারবেন। এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশাও করেছিলেন।
সাকিব মনে করেন, পুরো বিষয়টি বিসিবি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারত। দ্য ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'দেখুন, আমার কোনো অভিযোগ নেই, তবে যদি সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও ভালো হত, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম।'
সাকিব এখন আর অতীত নিয়ে চিন্তা করছেন না, বরং ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটবে তা মেনে নিতে তিনি প্রস্তুত। তবে, স্বীকার করেছেন যে বোর্ডের সাথে আরও ভাল যোগাযোগ হলে পরিস্থিতি আরও সহজ হয়ে যেত। এমনকি জোর দিয়ে বলেছিলেন, কোচ সালাউদ্দিনের সাথে কাজ করার পর যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে বাদ দিতে।
তবে, বিসিবি তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। টুর্নামেন্টের আগে সাকিবের ফিরে আসার জন্য কোনো আগ্রহই দেখায়নি বোর্ড। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল বা বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম; কেউই সাকিবের সাথে তার প্রত্যাবর্তনের জন্য যোগাযোগ করেনি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে সাকিব কাউন্টি দল সারের হেড কোচ এবং প্রাক্তন ইংলিশ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে পরীক্ষায় পাস করেন।