‘বাংলাদেশকে হারিয়ে দিব’, এই বিশ্বাস ছিল আরব-আমিরাতের সবার

‘বাংলাদেশকে হারিয়ে দিব’, এই বিশ্বাস ছিল আরব-আমিরাতের সবার
‘বাংলাদেশকে হারিয়ে দিব’, এই বিশ্বাস ছিল আরব-আমিরাতের সবার
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, হবে দুই ম্যাচের একটি সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ শুরুর আগে বাড়ানো হয় আরেকটি ম্যাচ। তখনও সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজে পিছিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর তাতেই তারা লিখে ফেলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম গর্বের অধ্যায়।
প্রথম ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ, তবে তখন থেকেই জয়ের দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামে আমিরাত। ম্যাচ একটি বাড়ার ঘোষণার পর থেকেই ড্রেসিংরুমে ছিল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর আলোচনা। ম্যাচসেরা আলিশান শারাফু বললেন,
'তৃতীয় ম্যাচটির ঘোষণা যখন দেওয়া হলো, সবাই তখন থেকেই আশাবাদী ছিল। ড্রেসিং রুমে আমরা কথা বলেছি যে, জিততে পারি। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চেয়েছি আমরা এবং সবকিছু সেভাবেই হয়েছে।'
যেমন পরিকল্পনা, তেমন বাস্তবায়ন। দ্বিতীয় ম্যাচে রানের পাহাড় ডিঙিয়ে পায় তাদের ইতিহাসের প্রথম জয় বাংলাদেশ বিপক্ষে। সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেই তৃতীয় ম্যাচে তারা ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়। ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংসে ম্যাচসেরা হন আলিশান।
এই সিরিজ জয় শুধু আরেকটি জয় নয়, বরং একটা বড় চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যাওয়ার অনুভূতি। আগে ২০২৩ সালে নিউ জিল্যান্ডকে হারালেও সিরিজ জিততে পারেনি আমিরাত। এবার সেই অতৃপ্তির জায়গা ভরিয়ে দিয়েছে এই সাফল্য।
অধিনায়ক মুহাম্মাদ ওয়াসিম ম্যাচ শেষে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বললেন, 'আমি খুবই খুশি এই জয়ে। অভিনন্দন জানাই আমাদের ম্যানেজমেন্ট, আমাদের বোর্ডকে, ধন্যবাদ জানাই কোচিং স্টাফ, প্রধান কোচ, ফিজিও, অ্যানালিস্ট, ট্রেনার, প্রত্যেককে। আমি খুবই খুশি ইতিহাস গড়তে পেরে।'
এর আগে তারা ২০২১ সালে আইরিশদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। তবে বাংলাদেশকে হারানো জয়টা যে আরও বড় অর্জন, তা বলাই বাহুল্য।
ওয়াসিম নিজেও ব্যাট হাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রথম ম্যাচে ফিফটি আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ বলে ৮২ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। যদিও তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান, কিন্তু ভরসা রেখেছিলেন দলের ওপর।
'সত্যি বলতে, আমরা আশা হারাইনি। সবাইকে বলছিলাম যে আমরা জিততে পারি। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত। বিশ্বাসটা ছিল আমাদের। খুবই খুশি আমি।
শেষ ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত হয় আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের ৫১ বলে ৮৭ রানের জুটিতে। আর বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন হায়দার আলি, যিনি এই সিরিজেই প্রথমবার খেলেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট।
এই জয় শুধু একটি সিরিজ জেতা নয়, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটের আত্মবিশ্বাসকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া। ভবিষ্যতের পথে এ জয় হয়ে থাকল এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।