Image

রাসেলের ব্যাট দিয়ে টিম ডেভিডের ১১ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 12 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
রাসেলের ব্যাট দিয়ে টিম ডেভিডের ১১ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি

রাসেলের ব্যাট দিয়ে টিম ডেভিডের ১১ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি

রাসেলের ব্যাট দিয়ে টিম ডেভিডের ১১ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি

টিম ডেভিড! এ নামটাই যেন এই ম্যাচের সমস্ত আলো নিজের করে নিয়েছে। বিধ্বংসী এক ইনিংসে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শুধু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ডই গড়েননি, জিতিয়েছেন দলকে সিরিজও। শাই হোপের দুর্দান্ত শতরানকে ছাপিয়ে তাঁর ঝড়ো ইনিংসই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয়।

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত এই হাই-স্কোরিং ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৪ উইকেটে ২১৪ রান। জবাবে মাত্র ১৬.১ ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

টস জিতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরু থেকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন দুই ওপেনার শাই হোপ ও ব্র্যান্ডন কিং। মাত্র ৯.৫ ওভারে তাঁদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২৫ রান। কিং ৩০ বলে ৬২ রান করে ফিরলেও হোপ ছিলেন আরও দাপুটে। ধীরে শুরু করলেও এক সময় গতি বাড়িয়ে ৫৫ বলে করেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।

তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছয়। হোপের ব্যাটে মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে যায় ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহে। তবে মাঝের ওভারগুলোতে গতি কিছুটা হারায়। বিশেষ করে শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩৬ রান তুলতে পারায় আক্ষেপ থাকতেই পারে স্বাগতিকদের।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সবচেয়ে নজর কাড়েন শন অ্যাবট। তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৪-০-২১-০, যেখানে ১৪টি ডট বল ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানো। অন্যদিকে, নাথান এলিসের ১৮তম ওভার ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাত্র ৬ রান খরচ করে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি।

লক্ষ্য বিশাল হলেও অস্ট্রেলিয়া শুরুটা ভালো করে। তবে ৮৭ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ একপেশে হয়ে যেতে পারত। তখনই মাঠে নামেন টিম ডেভিড। তখনও কেউ হয়তো আঁচ করতে পারেনি, কী আসতে যাচ্ছে!

শুরুটা সামান্য দেখেশুনে খেললেও ১০ম ওভারে গুদাকেশ মোতির এক ওভারে চারটি ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচের চিত্রটাই পাল্টে দেন ডেভিড। এরপর হোসেইনের ওভারে আরও দুটি ছয় ও একটি চার মেরে মাত্র ১৬ বলেই ফিফটি পূর্ণ করেন। এই ফিফটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম।

তারপর আর থামেননি। রোস্টন চেজের একমাত্র ওভারে তিনটি ছয় মেরে দলের রানরেটকে আরও ওপরে নিয়ে যান। ১১টি ছয় ও ৪টি চারসহ ৩৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যেটি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্রুততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আগের রেকর্ড ছিল ৪৩ বলে, যা করেছিলেন জশ ইংলিস।

এই ইনিংসের সঙ্গে দুর্দান্ত অবদান ছিল তরুণ মিচেল ওয়েনেরও, যিনি ১৬ বলে ৩৬ রান করেন। এই দুজনের ৫ম উইকেটে ৪৬ বলে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে জয় এনে দেয় মাত্র ১৬.১ ওভারে।

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three