সুপার ওভারে রিশাদকে না দেখে অবাক ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 6 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
সুপার ওভারে রিশাদকে না দেখে অবাক ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুপার ওভারে রিশাদকে না দেখে অবাক ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মিরপুরের টার্নিং উইকেটে জমজমাট লড়াই শেষে ভাগ্য হাসল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে সামান্য ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। কারণ, যিনি মূল ইনিংসে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলিং লাইনআপকে বিপর্যস্ত করেছিলেন, সেই রিশাদকেই দেখা যায়নি সুপার ওভারে। বিষয়টি বিস্মিত করেছে স্বয়ং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার আকিল হোসেনকেও।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নামেন সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ ডাগআউটে বসেই দেখতে হয় শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মার রিশাদকে। ম্যাচের চিত্র অনুযায়ী তিনিই ছিলেন সেই মুহূর্তের সবচেয়ে কার্যকর ব্যাটার।
দিনের আগে মূল ইনিংসে রিশাদ খেলেছিলেন ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস যেখানে শেষ ওভারে আকিল হোসেনের বলেই মেরেছিলেন একটি চার ও একটি ছক্কা, কেবল সেই ওভার থেকেই তুলেছিলেন ১৬ রান। আগের ম্যাচেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়। এমন পারফরম্যান্সের পরও তাঁকে সুপার ওভারে না দেখা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকিল হোসেনও তাঁর বিস্ময় লুকাননি। “হ্যাঁ, একটু অবাক হয়েছিলাম। ম্যাচে যিনি সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন, ১৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত, তাকে সুপার ওভারে না পাঠানো অবাক করার মতোই। ওর দিকে ছোট দিকটা ছিল, যেখানে দুইটা ছক্কা মেরেছিল। আমরাও সবাই অবাক হয়েছিলাম যে ওকে নামানো হলো না।”
আকিলের মতে, বাংলাদেশ দলের সেই সিদ্ধান্তটাই শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। “শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের পক্ষেই গেল। ওদের মধ্যে রিশাদই ছিল একমাত্র যার শক্তি ও রিচ দুটোই আছে, ও লম্বাও বটে। কিন্তু তারা ওকে পাঠায়নি, বেঁচে গেছি।”
এছাড়া মিরপুরের উইকেট নিয়ে আকিলের বিশ্লেষণও ছিল খোলামেলা। “সত্যি বলতে, এই উইকেট স্পিনারদের অনেক সাহায্য করছে, কিন্তু তবুও এটা সহজ নয়। কারণ এখানে ভুলের পরিসর খুব ছোট। বল বেশি ঘুরলে সেটা ব্যাট বা স্টাম্প থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আবার একটু শর্ট বল করলে ব্যাটার বসে কাট বা পুল করে ফেলতে পারে।”
শেষে ক্রিকেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক চেতনা নিয়েই মন্তব্য করেন আকিল,“দিনের শেষে আমরা সবাই ভালো ক্রিকেট দেখতে চাই। আমি যেমন বোলার, তেমনি ব্যাটারও। তাই আমাদের একটাই চাওয়া ভালো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট।”