ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের
ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের
দুবাইয়ের মাঠে ৬ উইকেটের পরাজয়ে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে এই ভারতের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় হয়েছিল টাইগারদের। ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তনের টুর্নামেন্টে সেই হারের বৃত্তেই নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরির পর রিশাদ, তাসকিন দারুণ বোলিং করলেও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকেই প্রথম ম্যাচে পেয়েছে বাংলাদেশ। দাপট দেখানোর বদলে ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বাজে প্রদর্শনী মেলে ধরেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ২ ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়, দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর অবশ্য গ্ল্যামারস ফিরে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে। তাওহীদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তুলেছেন ১৫৪ রান। যা ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরিতে চড়ে বাংলাদেশ পায় ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারত সহজ টার্গেট পেয়ে জয় ছিনিয়ে নিতে আর ভুল করেনি। শুবমান গিলের হার-না-মানা সেঞ্চুরিতে চড়ে ২১ বল আগেই ৬ উইকেটে জিতল ভারত। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১২৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮ম শতকটা তুলে নেন গিল। আগের দিন বসেন আইসিসির নম্বর ওয়ান ওয়ানডে ব্যাটারের র্যাংকিংয়ে। আজ ভারতকে জিতিয়ে দেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ।
২২৯ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে রোহিত শর্মার উইকেট হারালেও ভারতের রান জমা হয়ে যায় ৬৯। ৭ বাউন্ডারির ইনিংসে রোহিত ৩৬ বলে করেন ৪১। তাসকিনের হাতেই বাংলাদেশের মিলে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। তিনে নামা ভিরাট কোহলি থিতু হয়ে গেলেও রিশাদ হোসেনের ফাঁদে ব্যাট চালিয়ে পতন ডাকেন।
ভিরাট কোহলি ২২ রান করে ফিরলে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এরপর আসে ১৫ রানের ইনিংস। আক্সার প্যাটেলকেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় দ্রুত। ১২ বলে ৮ রান করা আক্সার রিশাদের হাতেই তুলেন ফিরতি ক্যাচ। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও শুবমান গিল ভারতকে লড়াইয়ে রাখেন দারুণভাবে। ৬৯ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে রানের চাকায় গতি বাড়ান ওয়ানডের নম্বর ওয়ান গিল।
লোকেশ রাহুল সেট হওয়ার চেষ্টার মাঝেই ক্যাচ তুলেন জাকের আলি অনিকের হাতে। সহজ ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশকে রীতিমতো হতাশায় ডুবিয়ে দেন। এরপর আর বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগই পায়নি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শুবমান গিল। তাকে সঙ্গ দেওয়া লোকেশ রাহুল অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।