দিল্লি ১০ উইকেটে হারলেও দুর্দান্ত ছিলেন মুস্তাফিজ

দিল্লি ১০ উইকেটে হারলেও দুর্দান্ত ছিলেন মুস্তাফিজ
দিল্লি ১০ উইকেটে হারলেও দুর্দান্ত ছিলেন মুস্তাফিজ
আগের রাতে শারজাহতে বাংলাদেশ দলের জয়ে অবদান রেখে মুস্তাফিজুর রহমান আজ আইপিএলের মঞ্চে। দিল্লি ক্যাপিটালসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল হাতে মুস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত, তার চেনা ছন্দে। প্রথম দুই ওভারে রান খরচ করেন কেবল ১৩, পরের ওভারে এসে দেন ১১ রান। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় গুজরাট টাইটান্সের কাছে ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে ম্যাচ। এমন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল শুবমান গিলের দল।
৩ ওভার বল করে মুস্তাফিজ এদিন রান দেন মোট ২৪। রান খরচ কম করলেও দলের বাকি বোলারদের মতো ফিজও থাকেন উইকেটশূন্য।
২০০ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে প্রথম ৩ ওভারেই গুজরাট টাইটান্সের রান ৪৩। রানের চাকায় গতি কমাতে অধিনায়ক আক্সার প্যাটেল বোলিংয়ে ডেকে আনেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। দারুণভাবে সফলও হয়েছেন ফিজ, বাউন্ডারি বিহীন ওভারে রান দেন কেবল ৬।
নিজের দ্বিতীয় ওভারের ৪র্থ ডেলিভারিতে গিয়ে বাউন্ডারি হজম করেন ফিজ। এই ওভারেও অবশ্য ৭ রানের বেশি খরচ করেননি। মুস্তাফিজের সাথে দুশমান্থ চামিরাও দারুণ বোলিং করে যান, তবে কেউ দলকে এনে দিতে পারেননি ব্রেকথ্রু। এরমাঝেই ৩০ বলে ফিফটি ছুয়ে ফেলেন সাই সুদর্শন। শুরুতে শুবমান গিল ধীরগতির হলেও সেট হয়ে ভয়ংকর রূপ নেন।
এই জুটি ভাঙা যেন দিল্লির বোলারদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফিফটি হাঁকিয়ে সুদর্শন-গিল দু'জনেই ছুটে যান শতকের দিকে। মুস্তাফিজ নিজের তৃতীয় ওভারে এসে রান দেন ১১। কুলদ্বীপকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন সাই সুদর্শন। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি অধিনায়ক শুবমান গিল। ৫৩ বল খেলা গিল ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
১ ওভার হাতে রেখেই ১০ উইকেটে জিতল গুজরাট টাইটান্স। ১০৮ রানের হার-না-মানা ইনিংস আসে সাই সুদর্শনের ব্যাট থেকে। ৬১ বল খেলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। অন্যদিকে গিল হাঁকান ৭টি ছক্কা।