দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নীরব নায়ক সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি রাজিন সালেহর শ্রদ্ধা

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 1 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নীরব নায়ক সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি রাজিন সালেহর শ্রদ্ধা

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নীরব নায়ক সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি রাজিন সালেহর শ্রদ্ধা

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নীরব নায়ক সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি রাজিন সালেহর শ্রদ্ধা

সিলেট থেকে জাতীয় দলে দীর্ঘ এই পথচলায় রাজিন সালেহ পাশে পেয়েছেন সেলিম আহমেদকে। এই সেলিম আহমেদ কোনো কোচ নন, আবার কোনো ক্রীড়া সংগঠকও নন। কিন্তু সিলেট ক্রিকেটের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। রাজিন, অলক, তাপসদের একদম শুরুর দিনগুলো থেকেই তিনি ছিলেন তাঁদের সঙ্গী।

সিলেট লিগের কোনো ক্লাব হোক বা সিলেট বিভাগীয় দল। সব জায়গায় রাজিন, অলক, তান্নাদের বিশ্বস্ত সহযাত্রী এই সেলিম আহমেদ। রাজিন-অলকরা যখন সিলেটের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, তখনও একজন দক্ষ সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে তাঁদের পাশে ছিলেন সেলিম আহমেদ।

তারুণ্য পেরিয়ে যৌবন, সেই যৌবনের সোনালি দিনগুলোও অনেক আগেই ফুরিয়েছে। এখন চুল-দাড়িতে পাক ধরেছে, ঘন কালো চুলে সাদা ছোপ পড়েছে। তবু আজও সিলেট বিভাগীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে রাজিন-অলক-তাপসদের উত্তরসূরিদের সহায়কের ভূমিকায় আছেন এই নিবেদিতপ্রাণ মানুষটি।

সেই সেলিম আহমেদের সঙ্গে সিলেট দলের সাপোর্ট স্টাফে যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন নবীন সদস্য। প্রায় আট বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন মানিক মিয়া, আর বছর দুয়েক হলো যুক্ত হয়েছেন রুবেল নামের এক তরুণ।

এই তিন সাপোর্ট স্টাফের পাশাপাশি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সকল সাপোর্ট স্টাফের প্প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সিলেট বিভাগীয় দলের কোচ রাজিন সালেহ প্রকাশ করেছেন এক আবেগঘন পোস্ট। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন খেলোয়াড়দের সাফল্যের পেছনে থাকা এই মানুষগুলোর নিরলস পরিশ্রম ও ত্যাগের কথা।

রাজিন লিখেছেন,“ভাই মানিক, সেলিম ভাই, রুবেল ভাই—তারা আমাদের সিলেট দলের সাপোর্টিং স্টাফ। তাঁদের নিয়ে লিখবো লিখবো ভাবছিলাম, কিন্তু হয়ে উঠছিল না। আমরা প্রায়ই আমাদের ক্যারিয়ারের পেছনে থাকা কোচ বা সংগঠকদের কথা বলি, কিন্তু আসল নায়ক সাপোর্টিং স্টাফদের কথা খুব কম বলা হয়।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন,“প্রত্যেক খেলোয়াড় জানে, এই মানুষগুলো আমাদের জন্য কত সময়, পরিশ্রম, ধৈর্য আর ত্যাগ দেন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট, ঝামেলা আর চাপ সামলে, দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়ে খেলোয়াড়দের পেছনে নীরবে কাজ করে যান তারা।”

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাপোর্টিং স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে রাজিন বলেন,“শুধু আমাদের দলের নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি স্পোর্টস টিমের সাপোর্টিং স্টাফরাই সবচেয়ে পরিশ্রমী অথচ সবচেয়ে অবহেলিত। তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দোয়া রইল। আজ আমি ‘রাজিন সালেহ’ হতে পেরেছি, তাঁদের অবদান ছাড়া সেটা সম্ভব হতো না।”

পোস্টের শেষাংশে সাবেক এই অধিনায়ক বাংলাদেশের সব খেলাধুলার সাপোর্টিং স্টাফদের প্রতি চিরস্থায়ী ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।