উত্তরবঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন, তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজে সমতা
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হার বাংলাদেশের
-
2
সাকিব আল হাসান রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
-
3
জাহানারার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিসিবি
-
4
আবরার ও আয়ুবের জাদুতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথমবার সিরিজ জিতল পাকিস্তান
-
5
বৃষ্টিতে ভেসে গেল শেষ ম্যাচ, সিরিজ জয়ে অভিষেকের রেকর্ডে উজ্জ্বল ভারত
উত্তরবঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন, তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজে সমতা
উত্তরবঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন, তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজে সমতা
দীর্ঘ বিরতির পর উত্তরবঙ্গে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই বগুড়ায় ১৬ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন হয়। শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচের প্রথমটিতে জয় পায় বাংলাদেশ যুব দল। তবে বৃষ্টির কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের একটিও বল মাঠে গড়ায়নি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রাজশাহীতে যায় আজিজুল হাকিম তামিমের দল। সেখানে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৯ রানের বড় জয় তুলে নেয় আফগান যুবারা, ফলে সিরিজে সমতা ফেরে। এরপর চতুর্থ ম্যাচে বাংলার যুবাদের ৪৭ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আফগানরা।
ইকবাল হোসাইন ইমনের আগুনে বোলিংয়েও তখন জয়ের দেখা মেলেনি বাংলাদেশের। ইমন ৫১ রানের বিনিময়ে একাই নেন ৬ উইকেট, তবু ২৫৮ রানে আফগানদের গুটিয়ে দেওয়ার পরও স্বাগতিক ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলটি ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি।
ফলে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজ বাঁচাতে তাই জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। এমন সমীকরণের ম্যাচে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। বোলারদের গড়ে দেওয়া ভিতে অনবদ্য সেঞ্চুরিতে টাইগার যুবারা পায় ২ উইকেটের স্বস্তির জয়।
২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার ভিড়েও ১১৮ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় শতরানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে রিজান হাসানের (২৭) সঙ্গে ৪৪, পঞ্চম উইকেটে ফারিদ হাসানের (২৩) সঙ্গে ৫৪ এবং অষ্টম উইকেটে শাহরিয়ার আল আমীনের সঙ্গে আরও ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তামিম।
তবে জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে সালমান খানের বলে আউট হন এই অধিনায়ক। তামিমের বিদায়ের পর বাকি কাজ সম্পন্ন করেন শাহরিয়ার আল আমীন (১৭*)। স্বাধীন ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ক্রিজে এসেই স্বাধীন হাঁকান জয়সূচক বাউন্ডারি, আর তাতেই ৪৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান, যিনি চার উইকেট শিকার করেন। সালমান খান ও উজাইরুল্লাহ নিয়াজাই নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রানে থামে আফগান ইনিংস। ওপেনার ওসমান সাদাত দলের বিপর্যয়ে করেন ৬৮ রান, মাহবুব খান যোগ করেন ৪০। বাংলাদেশের হয়ে সামিউন বাশির নেন ২ উইকেট, আর সাদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ ও শাহরিয়ার আমীন নেন একটি করে উইকেট।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়।
