২২ বছর ধরে যত্নে রাখা সেই ব্লেজার, স্মৃতিতে ফিরে গেলেন শহিদুল আলম রতন

২২ বছর ধরে যত্নে রাখা সেই ব্লেজার, স্মৃতিতে ফিরে গেলেন শহিদুল আলম রতন
২২ বছর ধরে যত্নে রাখা সেই ব্লেজার, স্মৃতিতে ফিরে গেলেন শহিদুল আলম রতন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে ৬ বছরের গৌরবময় সময়, বিশেষ করে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের সূচনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা—সবকিছুকে সম্মান জানিয়ে সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ এক ব্লেজার পরে হাজির হন সাবেক কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক শহিদুল আলম রতন। ২২ বছর ধরে যত্নে রাখা সেই ব্লেজারটি তিনি একমাত্র রেখে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ও গর্বের নিদর্শন হিসেবে।
তিনি জানান, “আমি এই ব্লেজারটি ২২ বছর ধরে খুব যত্নে রেখেছি। আজকের এই আয়োজনে (আরাফাত রজমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে) ইচ্ছা করেই পরেছি। কারণ, এইচপি প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার সময় বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো ভাই। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আজকের এই পোশাক নির্বাচন।”
২০০৪ সালে রিচার্ড ম্যাকইনিসের অধীনে হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের সূচনা হয়, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দেয়। জাতীয় দলের সাবেক কোচ জানান, “আমার সময়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অন্যান্য বয়সভিত্তিক প্রোগ্রামে রিচার্ড ম্যাকইনিসের সঙ্গে কাজ করেছি। হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার তৈরির সূতিকাগার।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ছিলাম জাতীয় দলের তিন কোচের একজন, যেখানে আমার সহকর্মী ছিলেন নজমুল আবেদীন ফাহিম ও সারোয়ার ইমরান ভাই। এ ছাড়া কাজ করেছি অসংখ্য সহকারী কোচ, ট্রেইনার, ফিজিও ও টিম স্টাফদের সঙ্গে। সবাই অত্যন্ত পেশাদার ও অনুপ্রাণিত ছিলেন।”
বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে এক দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ইংল্যান্ডে Capital Kids Cricket, Middlesex Cricket Participation, Essex Cricket in the Community-এর মতো বিভিন্ন সংস্থায় ক্রিকেট শিক্ষা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকেছেন।
তিনি বলেন, “আমি এখনো প্রতিদিন শিখছি এবং কৃতজ্ঞ, দেশের ভেতরে ও বাইরে ক্রিকেটের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ পাওয়ায়। আরও অনেক কিছু করা সম্ভব যদি আমরা বিদ্যমান অবকাঠামোকে কাজে লাগাতে পারি।”
অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণের জন্য তিনি শারফোরাজ ‘শারফু’ ফারুক হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আমরা লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে একটি আয়োজন করব।”