২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ, সাকিবের ক্যামিওতে বাঁচল মান

২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ, সাকিবের ক্যামিওতে বাঁচল মান
২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ, সাকিবের ক্যামিওতে বাঁচল মান
কলম্বোর আর প্রেমাদাসায় বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর মিশন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৮ রানে থামল বাংলাদেশ। শেষবেলায় ২১ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও খেলে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। এর আগে পারভেজ ইমন আর তাওহীদ হৃদয় পেয়েছেন জোড়া ফিফটি।
শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ৩০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেন সাকিব, তবে ফিজের ব্যাট থেকে আসেনি একটি রানও। ফলে ৪৫.৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামল ২৪৮ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংসটা শুরু হয়েছিল ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে। আগের ম্যাচে ফিফটি করা তামিম আজ অবশ্য আউট হয়েছেন নামের পাশে কেবল ৭ রান নিয়ে। তামিমের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার পারভেজ ইমনের ৬৩ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কাটায় বাংলাদেশ।
কিন্তু ১৪ রান করে নাজমুল শান্ত আউট হওয়ার পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমনও ৬৭ রানে আউট হন হাসারাঙ্গার দারুণ এক ডেলিভারিতে। ফের ব্যর্থ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মাঝে শামীম পাটোয়ারী আর জাকের আলিকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তাওহীদ হৃদয়। কোনো জুটিই অবশ্য এদিন খুব একটি বড় হয়নি।
তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে তাওহীদ হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে পরের বলেই তাঁকে ফিরতে হয় তানজিম সাকিবের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে। বাংলাদেশ আড়াই ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় তানজিম সাকিবের শেষ বেলার ক্যামিওতে। তানজিম সাকিব অপরাজিত থাকলেন ৩৩ রানে। ২১ বলে মোকাবিলায় দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। ৭ বল খেলা মুস্তাফিজ আউট হলেন শূন্যতে। তাতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
বল হাতে এদিন শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান পেসার আসিথা ফার্নান্দো, তাও আবার মাত্র ৩৫ রান খরচায়। এছাড়া ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।