মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, তবে আস্থা হারাচ্ছেন না লিটন
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 5 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, তবে আস্থা হারাচ্ছেন না লিটন
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, তবে আস্থা হারাচ্ছেন না লিটন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল দলের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা। টপ অর্ডার একাধিক ম্যাচে ভালো শুরু এনে দিলেও মাঝের সারির ব্যাটাররা সেটিকে বড় ইনিংসে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও অধিনায়ক লিটন দাস সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই ব্যর্থতায় তিনি আস্থা হারাচ্ছেন না নিজের সতীর্থদের প্রতি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, “চিন্তার কোনো বিষয় না, এখানে যারা খেলছে তারা কয়েক বছর ধরে খেলছে। মাঝে মাঝে এরকম দুই একটা সিরিজ খারাপ যেতে পারে।”
তাঁর মতে, ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাক টু ব্যাক ক্রিকেট খেলছেন, তাই বিশ্রামও এখন অত্যন্ত জরুরি। “আমার মনে হয় মাঝেমধ্যে বিশ্রামটা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। সামনে ব্রেকের সুযোগ রয়েছে, সেই ব্রেক থেকে সবাই রিফ্রেশ হয়ে আসতে পারবে,”—যোগ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সিরিজজুড়ে মিডল অর্ডারের স্ট্রাইক রেট ও ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও লিটন দলের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
তিনি বলেন, “যারা খেলছে তারা সবাই প্রুভেন। এক-দুইটা পরিবর্তন আসতে পারে, কিন্তু দিনে দিনে প্লেয়ার পরিবর্তন করলে ফল ভালো হবে না। যে নতুন আসবে, সে যে ভালো করবে এমন গ্যারান্টি নেই।” তাঁর বিশ্বাস, যারা দীর্ঘদিন জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছেন, তাদের সামর্থ্য নিয়েই দল গঠিত হওয়া উচিত এবং তাদের ওপর আস্থা রাখলে সময়মতো ফলও আসবে।
অধিনায়ক আরও মনে করেন, উইকেট ও আবহাওয়ার অবস্থাও সিরিজে বড় প্রভাব ফেলেছে। “আমরা শুকনো উইকেটে ব্যাটিং করেছি, তারা ব্যাট করেছে ডিউ উইকেটে। পার্থক্যটা সেখানেই। কিছু কিছু জিনিস আমাদের হাতে থাকে না,”—বললেন লিটন।
তাঁর মতে, মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের স্কিল ও শট নির্বাচনে আরও উন্নতি করতে হবে, তবে এই ব্যাটাররাই সময় পেলে ফর্মে ফিরবেন বলে তিনি আশাবাদী।
লিটনের ভাষায়, “একজন শিক্ষক আপনাকে একটা সাজেশন দিতে পারবে, সে তো আর বাইশগজে গিয়ে খেলবে না। আপনাকে একটা ধারণা দিতে পারবে, এই ধারণাটা নিতে নিয়ে আপনাকেই খেলতে হবে। মাঠে প্রয়োগটা আপনাকেই করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের প্রশিক্ষকরা সম্পূর্ণভাবে আমাদেরকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। ব্যর্থতা আমাদের, আমরা ডেলিভার করতে পারিনি। আমি আশা করব যে, আমাদের প্লেয়াররা এখান থেকে শিখে পরের ম্যাচগুলোতে আরও ভালোভাবে মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে।”
সিরিজ হারের হতাশা থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক আশাবাদী, সামনের বিশ্রাম ও প্রস্তুতির সময়টা দলের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। “ক্রিকেট এমন খেলা, যেখানে প্রতিদিন নতুন সুযোগ আসে। আমাদের দল সেটার অপেক্ষায় আছে,”—বলেন লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করে এখন বাংলাদেশের সামনে একাধিক হোম সিরিজের প্রস্তুতি। লিটনের প্রত্যাশা, বিশ্রাম ও পুনর্গঠনের পর মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা আবারও নিজেদের সেরাটা তুলে ধরবেন।
