পার্থ স্কর্চার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
-
1
হজের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ানোর চেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
-
2
অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার দাপট, হারের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড
-
3
এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ ফাইনালে ভারতের ভরাডুবি, চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
-
4
কনওয়ের ডাবল কীর্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৪৬২ রানের পাহাড়
-
5
বাজবলের ভরাডুবি, তিন টেস্টেই অ্যাশেজ হার ইংল্যান্ডের
পার্থ স্কর্চার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
পার্থ স্কর্চার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ এইচপি নিজেদের শেষ ম্যাচে পেল রোমাঞ্চকর এক জয়, পার্থ স্কর্চার্সকে হারিয়েছে ৩ উইকেটে। ১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য টপকাতে নেমে বাংলাদেশ এইচপি অবশ্য হারায় ৭ উইকেট। রাব্বির ক্যামিওতে ৩ বল আগে নিশ্চিত হল জয়, আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত হল টাইগারদের। ১৩ বলে ৩২ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলে জয়ের নায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
সিরিজের রাউন্ড রবিন পর্বে এটিই ছিল বাংলাদেশ এইচপি দলের শেষ ম্যাচ। আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে হার দেখা আকবর আলির দলের জন্য আজ ছিল চ্যালেঞ্জ। হারলেই ছিটকে যাবে সেমির দৌড় থেকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে ৩ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ জিতল ৩ উইকেটে। সিরিজে ৩ হার ও ৩ জয় নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে।
পাঁচবারের বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) চ্যাম্পিয়ন পার্থ স্কর্চার্স একাডেমি আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে করতে পারে কেবল ১২৯ রান। পেসার রিপন মন্ডল মাত্র ১৯ রান খরচায় দখলে নেন জোড়া উইকেট। স্পিনার রাকিবুল হাসানেরও শিকার জোড়া উইকেট।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার তানজিদ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তামিম। তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন ৯ বল খেলেও রানের দেখা পাননি। শূন্য হাতে ফিরে গেছেন সাজঘরে। এরপর আরিফুল ইসলাম জনির ব্যাট থেকে ২ রানের বেশি আসেনি।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এইচপি রান করতে পারে কেবল ১৫। টপ অর্ডারের চরম বিপর্যয়ের মাঝে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি জিশান আলম। ওপেনার জিশান দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের ফাঁদে নিয়েছেন বিদায়। উইকেট হারানোর আগে ২৬ বলে করেন সমান ২৬ রান।
দলের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ছিলেন অধিনায়ক আকবর আলি। নিজের শুরুটা দেখে-শুনে করলেও মুহূর্তেই আকবর হয়ে ওঠেন মারমুখী। ঝাই রিচার্ডসনের ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ৩ ছক্কা ও ১ চারে করেন সর্বোচ্চ ৩৫ রান। এরপর আবু হায়দার রনি ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ৭ রানে।
শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি দলকে এনে দেন স্বস্তি। শামীম ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হলেও ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন রাব্বি। সমান দুই চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১৩ বলে করেন ৩২ রান। তার এই হার-না-মানা দাপুটে ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই বাংলাদেশ এইচপি পেল ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। এতে করে মিলল সেমিফাইনালের টিকিটও।
