শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লির জয়

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 সপ্তাহ আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লির জয়

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লির জয়

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দিল্লির জয়

পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের অবস্থান পাশাপাশি। বুধবার রাতের ম্যাচে জয়টা তুলল অবশ্য দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে দিল্লি। এই বিশাল অঙ্কের দান তাড়া করতে গিয়ে ভালোভাবেই দম রেখেছিল গুজরাট। শেষমেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান পর্যন্ত তোলার সক্ষমতা দেখায় দলটি। এর ফলে ৪ রানে জয়ের স্বাদ পায় রিশাব পান্টের দল।

রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক শুবমান গিলের উইকেট শুরুতে হারালেও থমকে যায়নি গুজরাট। আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা যখন ফিরেছেন দলের রান পৌঁছে গেছে ৯৫ তে। চলছিল দশম ওভারের খেলা। ঋদ্ধিমান খেলেন ২৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

সাই সুদর্শনের ৬৫ (৩৯), ডেভিড মিলারের ৫৫ (২৩) রানের ইনিংস দিল্লিকে আশা জুগিয়েছে। একইসাথে উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা একপ্রান্তে। সুদর্শন ফেরার পর এম শাহরুখ খান ও রাহুল তেওয়াটিয়া ফিরেছেন এক ডিজিটে। সেসময় এসে মিলারের হাতে ভরসা খুঁজেছে গুজরাট।

১৮ বলে যখন ৪৯ রান দরকার, সেই ওভারে ফিরলেন মিলার। রাশিদ খান ও সাই কিশোর অবশ্য তখনো হাল ছাড়েননি। কিশোর ১৯তম ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে একই ওভারে আউট হয়েছেন, শেষমেশ শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৯ টি রান।

মুকেশ কুমারের শেষ ওভারে রাশিদের ব্যাটে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা আসে। শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান। সেই বলটি ডট খেলেন রাশিদ। ফলে ৪ রানের ব্যবধান আর চুকিয়ে উঠতে পারেনি গুজরাট। ১১ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাশিদ।

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রাশিক সালাম সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে দিল্লির দুই ওপেনার যখন একই ওভারে ফিরলেন, দলের রান তখন ৩৬ চলছে। সন্দীপ ওয়ারিয়ারের শিকার হয়েছিলেন প্রিথবি শ ও জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্ক।

তিনে নেমে ব্যাট করলেন আক্সার প্যাটেল। জ্বলে উঠলেন বড় রানের খোঁজে। শাই হোপ রান পাননি কিন্তু অধিনায়ক তখনো ছিলেন। আর পান্টের ব্যাটে আসা রানের ক্ষুধায় যেন তখন দিল্লির সমর্থকরা ধুঁকছিল।

আক্সারকে সাথে নিয়ে পাড়ি দিলেন শত রানের জুটিতে। আক্সার যখন ফিরলেন, দলের রান তখন ১৫৭ তে পৌঁছে যায়। এই ব্যাটার খেলেন ৪৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস।

শেষ বেলায় পান্টের সাথে যোগ দিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবস যেন বারুদ হয়ে উঠলেন। তিনি ৭ বলে খেললেন ২৬ রানের ইনিংস, যেখানে ২ ছক্কা ও ৩ চারের মার ছিল। আর স্টাবসের সাথে, ৮ ছক্কা ও ৫ চার নিয়ে ৪৩ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন দিল্লি অধিনায়ক।