চিপকের নায়ক হওয়া হলো না মুস্তাফিজের

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 সপ্তাহ আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
চিপকের নায়ক হওয়া হলো না মুস্তাফিজের

চিপকের নায়ক হওয়া হলো না মুস্তাফিজের

চিপকের নায়ক হওয়া হলো না মুস্তাফিজের

মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে সুযোগ ছিল নায়ক হওয়ার। তা হয়নি। শেষ ওভারে তার দায়িত্ব ছিল ১৭ রান থেকে প্রতিপক্ষকে বিরত রাখার। কিন্তু ওপাশে ভয়ংকর হয়ে ওঠা সেঞ্চুরি হাঁকানো মার্কাস স্টয়নিসের বিপরীতে মুস্তাফিজ একেবারেই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফলে চেন্নাই সুপার কিংসকে ঘরের মাটিতে ৬ উইকেটে পরাজিত করে জয় নিশ্চিত করে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

টসে জিতে পরে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌ এর সামনে ছিল ২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা। প্রথম ওভারে দীপক চাহারের শিকার হয়ে কুইন্টন ডি ককের বিদায়, পঞ্চম ওভার চলতে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। 

বড় লক্ষ্যমাত্রা, তখন একটু চাপ বোধ করার কথা চীপকের মাটিতে প্রতিপক্ষকে। তবে তিনে নামা স্টয়নিস তখন নিজের ব্যাট ভারী করে জবাব দিচ্ছেন। 

দেবদূত পাডিকাল খুব বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি। ফিরেছেন মাত্র ১৩ রান করে। সেখানেও ৫৫ রানের জুটি তৈরি হয় স্টয়নিসের সাথে। দেবদূত ফিরলে মাঠে আসেন উইন্ডিজ তারকা নিকোলাস পুরান। এবার পুরানকে সাথে নিয়ে রান তাড়ার গতি আরও বাড়িয়ে দেন স্টয়নিস। 

একটা সময়ে ম্যাচ জিততে ৩৬ বলে ৮৭ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌ এর। সেসময় মুস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে রান দেন ১৩, এর পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুর এসে হজম করেন ২০ রান। স্টয়নিস তখন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছুটছেন। আর লক্ষ্ণৌ এর রান ছুটছে ১৫০ ছাড়িয়ে। 

মাথিশা পাথিরানার পরের ওভারে ১৫ বলে ৩৪ রান নেওয়া পুরান ফেরত যান। বাকিটা পথ দীপক হুদাকে সাথে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন স্টয়নিস। ১৮তম ওভার চলাকালীন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার, মাত্র ৫৬ বল খেলে। 

শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌ এর জিততে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। মুস্তাফিজের প্রথম ৩ বলে সেই রান নিয়ে বসেন স্টয়নিস। এরমধ্যে একটি ডেলিভারি আবার নো- বল হিসেবেও ঘোষণা করে আম্পায়ার। 

স্টয়নিসের ৬৩ বলে ১২৪ রানের ইনিংসে ছিল ৬ ছক্কা ও ১৩ টি চারের মার। অন্যদিকে হুদা ৬ বলে ১৭ রান নিয়ে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 

এর আগে চেন্নাইয়ের রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরির গল্প ছিল সবচেয়ে বড়। অজিঙ্কা রাহানে, ড্যারিল মিচেল, রবীন্দ্র জাদেজারা ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি একদমই। তবে ঐ একপাশে পড়ে ছিলেন অধিনায়ক রুতুরাজ। 

শিভাম দুবেকে সাথে নিয়ে ১০৪ (৪৭) রানের জুটি গড়েন রুতুরাজ। শেষ ওভারে এসে ২৭ বলে ৬৬ রান করা দুবে হন রান আউটের শিকার। রুতুরাজ অপরাজিত ছিলেন ১০৮ (৬০) রানে। যে ইনিংসে ছিল ১২ টি চার, ৩ টি ছক্কা। আর এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ থামে ২১০ রানে।