৩ বাংলাদেশির পিএসএল কেমন কাটল

৩ বাংলাদেশির পিএসএল কেমন কাটল
৩ বাংলাদেশির পিএসএল কেমন কাটল
কুশল পেরেরা ও সিকান্দার রাজার দুর্দান্ত জুটিতে শেষ ২০ বলে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে পিএসএল শিরোপা জিতল লাহোর কালান্দার্স। পিএসএলে নিজের মনের মতো পারফর্ম করতে পারেননি সাকিব; ৩ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। দু'বার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দু'বারই হয়েছেন ডাক। অন্যদিকে রিশাদ, বল হাতে ৭ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৯.৩৩ করে রান দিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে আসর শেষ করলেন।
রিশাদ হোসেন প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দল পেলেও পরবর্তীতে সাকিব আর মিরাজকে লাহোর কালান্দার্স নিয়েছিল বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। লাহোর কালান্দার্সের স্কোয়াডে থাকলেও সাকিব-রিশাদ-মিরাজকে একসঙ্গে দেখা যায়নি কোনো ম্যাচে। ফাইনালের আগের ৩ ম্যাচে সাকিব সেরা একাদশে থাকলেও চোখে পড়ার মতো ভালো কিছু করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে দুই ইনিংস খেলে দু'টিতেই শূন্য। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে ৬ ওভার বল করে ৮.১৬ ইকোনমি ও ৪৯.০০ গড়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
২০২৫ পিএসএলে সাকিব আল হাসানের প্রথম ম্যাচ ছিল পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে। সেদিন ২ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে উইকেটবিহীন ছিলেন তিনি। এলিমিনেটর ম্যাচে ১ ওভার বল করে ৪ রানে ১ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। এমন ব্যর্থতার ফলে ফাইনালে লাহোরের একাদশেই জায়গা হারান সাকিব।
অপরদিকে রিশাদ হোসেন, পিএসএলের প্রথম পর্বে খেলেন ৫ ম্যাচ। যুদ্ধবিরতিত পর ফিরে এসে খেলেন আরও ২ ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দলে ফিরে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। আউট করেছেন শাদাব খান, সালমান আগা ও জিমি নিশামকে। সাকিব জায়গা না পেলেও ফাইনালের মঞ্চে রিশাদের উপর আস্থা রাখে কালান্দার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০২৫ পিএসএলে রিশাদ খেলেছেন মাত্র ৭ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.৩৩। সঙ্গে তো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেনই। পিএসএলের এবারের আসরেও রিশাদ মোটেই খারাপ কাটাননি। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় ১০ম স্থানে আছেন ৭ ম্যাচ খেলেই। ৬ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রান করেছেন মোট ২৩।
মেহেদী হাসান মিরাজ কোনো ম্যাচ না খেলেই প্রথম পাকিস্তান সুপার লিগের শিরোপা জয়ের সাক্ষী। দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেকের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো।