দুই ম্যাচে খালেদের ৮ উইকেট, দুই বারই ম্যান অব দ্য ম্যাচ

দুই ম্যাচে খালেদের ৮ উইকেট, দুই বারই ম্যান অব দ্য ম্যাচ
দুই ম্যাচে খালেদের ৮ উইকেট, দুই বারই ম্যান অব দ্য ম্যাচ
গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রাখলো রংপুর রাইডার্স। হোবার্ট হারিকেনসের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ১ রানে জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমে ব্যাট করে রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেটে তোলে ১৫১ রান। দলের পক্ষে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সের। ইনিংসের চ্যালেঞ্জিং সময়ে ৪২ বল খেলে তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় গড়েন ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। শুরুতে ৩১ বলে ৪৩ রান করে আক্রমণাত্মক সূচনা এনে দেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
তবে মাঝের ওভারে রানের গতি থেমে যায় পাকিস্তানি লেগস্পিনার উসামা মিরের দুর্দান্ত স্পেলে। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সেই চাপ সামলে শেষ ৫ ওভারে মায়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রংপুর তোলে ৫৪ রান, যা ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হোবার্ট হারিকেনসের শুরুটা হয় ছন্দে। ওপেনার বেন ম্যাকডারমট ৩৪ রানে এবং পরে ওডিন স্মিথ ২০ রানে অবদান রাখেন। তবে দলকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান অভিজ্ঞ আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তিনি ৩৬ বলে ৪৪ রান করে খেলেন এক দৃঢ় ইনিংস।
শেষ ৫ ওভারে হারিকেনসের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। নবীর একটি ছক্কায় সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ৬ রান। কিন্তু সেই ওভারেই ওমারজাইয়ের চতুর্থ বলে নবী ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ আবারও রংপুরের নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান, কিন্তু ব্যাটাররা নিতে পারেন মাত্র একটি। রানআউট হয়ে যান বিলি স্ট্যানলেক, আর একরানের জয় নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে রংপুর।
রংপুরের হয়ে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশি পেসার খালেদ আহমেদ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে চার উইকেট নেন তিনি। এবার তার বোলিং ফিগার ৪ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট। সাথে ইফতেখার আহমেদ ২ উইকেট নেন ১৩ রানে।
এই জয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। অপরদিকে, এক জয় ও এক হারে হোবার্ট হারিকেনস অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে।