১১০ রানে কেকেআরকে হারাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ

১১০ রানে কেকেআরকে হারাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
১১০ রানে কেকেআরকে হারাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
হেনরিখ ক্লাসেনের দুরন্ত শতক ও বোলারদের সম্মিলিত নৈপুণ্যে আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১১০ রানে উড়িয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ । দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ক্লাসেনের ৩৯ বলে ১০৫ রানের ইনিংসটি ছিল একক আধিপত্যের প্রতিফলন। যা হায়দ্রাবাদকে পৌঁছে দেয় আইপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলগত স্কোরে ২৭৮/৩।
টস জিতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ওপেনাররা। তবে দিনের আসল চমক ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ড হিটার হেনরিখ ক্লাসেন। তিনি যেন একাই ব্যাট হাতে কলকাতার বোলিং আক্রমণকে ছিন্নভিন্ন করেন। মাত্র ৩৭ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি, যা আইপিএল ইতিহাসে যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম। ইনিংসজুড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৯টি বিশাল ছক্কা ও ৭টি চার। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
তার সঙ্গে অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড রাখেন কার্যকরী অবদান। তারা করেন যথাক্রমে ৩২ ও ৭৬ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে হায়দ্রাবাদ সংগ্রহ করে ২৭৮ রান।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ইনিংসের শুরুতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। মিডল অর্ডারেও কেউই দাঁড়াতে পারেননি। হায়দ্রাবাদের পেসার ও স্পিনাররা একযোগে বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দমবন্ধ করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত তারা থামে মাত্র ১৬৮ রানে।
হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে জয়দেব উনাদকাত, ইশান মালিঙ্গা এবং হার্স দুবে ছিলেন সবচেয়ে কার্যকরী। প্রত্যেকে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দলের ফিল্ডিংও ছিল ঝকঝকে ও চমৎকার।
এই জয়ের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদ তাদের এবারের আইপিএল অভিযানকে এক স্মরণীয় সমাপ্তি দেয়। যদিও প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ছিল না, তবুও এত বড় ব্যবধানে জয় তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছে। ক্লাসেনের অসাধারণ ইনিংস নিঃসন্দেহে এই ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দেয় এবং তিনি স্বাভাবিকভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন।